শিরোনাম
নওদা গোবিন্দপুর সরিষার মাঠ
বিস্তারিত
মিরপুর উপজেলায় সবত্রেই এবছর ব্যাপক ভাবে শরিষার আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে এবং তীব্র শীত থাকায় এবার শরিষার বাম্পার ফলনের আশাবাদি চাষিরা। বিগত বছর শরিষার চাষে কৃষকেরা ব্যাপক লাভবান হওয়ায় এবার মাঠ জুড়ে কৃষকেরাশরিষার চাষাবাদ করে।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত বছর মিরপুরউপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়নে ২০ হেক্টর জমিতে শরিষার আবাদ হলেও এবার চাষাবাদ হয়েছে প্রায় ৫০ হেক্টর। যার উৎপাদনের লক্ষমাত্রা প্রায় ৫০ মে. টন। অল্প খরচে কৃষকেরা গত বছর ভালো ফলন পেয়ে লাভবান হওয়ায় এবছর কৃষকেরা ব্যাপক ভাবে শরিষার চাষাবাদ করেছে। একাধিক কৃষকেরা জানান,শরিষার চাষাবাদ করতে তেমন খরচ পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। তাই অল্প খরচেই শরিষার চাষাবাদ করে অধিক পরিমানে লাভবান হওয়া যায়।
তাছাড়া আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর বাম্পার ফলন পাওয়ার আশাবাদি চাষিরা। দিগন্ত মাঠ জুড়ে কৃষকেরা শরিষার আবাদ করে। আর শরিষারফুলের সুন্দোর্য যেন একাকার হয়ে আছে পুরো মাঠ জুড়ে । ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আকরাম হোসেন বলেন,বিগত বছর শরিষার ফলন ভালো হওয়ায় চাষীদের এবার আগ্রহ বেড়েছে।
এই শিতের সকালে আপনি কি কখোনো উপরের ছবির মত কোন শরিষা ক্ষেতের হলদে সাগরের পাশ দিয়ে হেটে গিয়েছেন,এক মুহুর্ত দাড়িয়ে থেকে বুক ভরে নিয়েছেন শরিষার সেই অসাধারন মৌ-মৌ সুগন্ধ মাখা সুরভিত ঘ্রান। যদি না গিয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে জীবনের সেরা একটি উপহার। আর সেই উপহার পেতে হলে আপনার সামান্যতম ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ট। দেখবেন অস্ফুট স্বরে আপনার মুখ থেকে বের হয়ে আসবে একটি মাত্র শব্দ আর তা হল- অপুর্ব।
শরিষার হলদে ফুলের ঢেউ আর অসাধারন মৌ-মৌ গন্ধ আপনার কানে কানে বলবে তুমি বাঙ্গালী-তুমি এই শ্যমল বাংলার অপরুপ রুপের অংশিদার। আর ঠিক তখনই আপনি নতুন করে আরো একবার উপলদ্ধি করতে পারবেন কেনো এই দেশের জন্য লক্ষ-লক্ষ মানুষ অকাতরে প্রান বিলিয়ে দিয়েছে সহাস্যে। কেনো অসংখ্য কবি কবিতায় তুলে এনেছিল এই বাংলার রুপের প্রতিচ্ছবি গেয়ে গেছেন নকশি কাথার মাঠের গান আর আকিয়ে একেছেন লাল সবুজের অসংখ্য ছবি। হৃদয়ে হতে হৃদয়ে আর প্রান থেকে প্রানে কোটি প্রানের রিমি-ঝিমি শব্দের রঙ্গে রাঙ্গানো সুরের গায়ক হয়ে ওঠবেন এক পলকে যা কখনও হাজার চেষ্টায় আপনি করতে পারেন নি ঠিক সেই মুহুর্তটির মত,আর তা হল গলা ছেরে হৃদয় থেকে গাইতে পারবেন একটি গান-জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো.।
আপনি ইচ্ছা করলেই একটু সময় বের করে খোজ নিয়ে আশে পাশে আর একটু বেশী সময় যদি বের করে নিতে পারেন তবে গ্রামের বাড়ীতে আসুন এখনই পেয়ে যাবেন এমন অনেক শর্ষে ফুলের দিগন্ত জোড়া মাঠ। আর কুয়াশার চাদরে ঢাকা প্রভাত বেলায় চলে আসুন সেই মাঠের কাছে সাথে নিয়ে আসুন আপনার প্রিয় জন,সন্তান কিংবা কোন বন্ধুকে ভাগ করে নিন বাংলার এই অপরুপ রুপের ছটা। আর একবার নতুন করে আবিস্কার করুন নিজেকে আর আপনার এই প্রিয় বাংলাকে।