Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
তালবাড়ীয়া ইউনিয়নে পাটের মাঠ
বিস্তারিত

কল্যানপুরের কৃষক অর্থকারী ফসল পাট চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে। এখনতারা পাট বপন ও ক্ষেত পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। তালবাড়ীয়া কৃষিঅফিস সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে ৯৯০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্য মাত্রানির্ধারণ করা হয়েছে। বৈশাখ মাস হতে কৃষক জমিতে পাট বীজ বপন শুরু করে এখনপর্যন্ত ৮ শ২০ হেক্টর জমিতে পাট বপন করা হয়েছে। জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝিপর্যন্ত পাটবীজ বপন করা যাবে। তাতে করে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবার আশা করছেকৃষি বিভাগ। ইউনিয়নের পদ্মার চরের জমিতে প্রচুর পরিমাণে বাদাম ও পাট চাষহয়ে থাকে। পাট চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছে কৃষক। এ ইউনিয়নে ২০০ জনতালিকাভুক্ত পাটচাষী রয়েছে। এর মধ্যে ২০০ জন পাট চাষীর মাঝে বিনামূল্যে সারও বীজ বিতরণকরা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য ফসলের চেয়ে পাট ফসলে লাভ হওয়ায়কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। উপজেলা পাট উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানাযায়, আধুনিক পদ্ধতিতে পাট চাষের কলা কৌশল, নাবিজাতের পাট বীজ উৎপাদনের কলাকৌশল, পাটের পোকামাকড় দমন এবং উন্নত পদ্ধতিতে পাট পচানোর কলা কৌশল পাট চাষীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিনামূল্যে উন্নত পাট বীজ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বিএডিসির নিজস্ব উৎপাদিত ও ৭২ জাতের, ইজি আর জে আর, ৫২৪ জাতের পাটের বীজ চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের রানাখড়িয়া গ্রামের পাট চাষী আলহাজ শুকুর আলীমন্ডল ১২ বিঘা জমিতে একই গ্রামের আনিসুর রহমান ৮ বিঘা জমিতে গোবিন্দপুর মোঃ টিটু  ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। তারা জানান, পাট আবাদ করতে খরচ বেশি হয় কিন্তু দাম ভাল পাওয়া গেলে খরচ উঠেও লাভ হয়। ওই একই কথা বললেন কল্যানপুর গ্রামের পাট চাষী হান্নান, মাটিয়াপাড়া গ্রামের নায়েব আলী ওশামুখিয়া গ্রামের ছবদের আলী প্রামাণিক। তারা আরও বলেন, বিঘা প্রতি পাটআবাদে খরচ হয় ৮-৯ হাজার টাকা। পাট পাওয়া যায় প্রায় ৮-১০ মণ।
ধানেরন্যায্যমূল্যে না পাওয়ায় কৃষক ধান চাষে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে। গত কয়েকবছর হলেধানের আবাদ করে লাভ তো দূরের কথা উৎপাদন খরচও উঠছে না। কৃষক যাতে মৌসুমেরসময় পাটের নায্য দাম পায় সে জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। তা নাহলে কৃষকপাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। গত বছর বন্যায় পাট চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এবছর ক্ষতি পুশিয়ে নেয়ার জন্য বিনামূল্যে কৃষকদের সার ও বীজদেয়া হয়েছে। সময়মত বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাটের আবাদ ভাল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।